ইউরোপে মানুষ পাঠানোর নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলের নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ জুয়েল বর্তমানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স ঢাকা কন্ট্রোল রুমে কর্মরত রয়েছেন। যার পুলিশ আইডি নং ৮২০২০৮২৭১৯।
জুয়েল বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার চর উত্তর ভুতেরদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। মামলাটি করেছেন ঘোপ ডিআইজি রোডের রাকিবুল ইসলাম। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতী উপজেলার যোগানিয়া গ্রামের পাচু মোল্যার ছেলে। বিদেশে লোক পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে জুয়েল ব্যাংকের চেক প্রদান করেন। পরে তা ডিজঅনার হয়। এরপর এ মামলা করেন রাকিবুল। বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন সমন জারি করে আগামি ২ মে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, কনস্টেবল জুয়েলের সাথে রাকিবুলের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক। জুয়েল পুলিশে চাকরি করে ও নিজেকে ক্ষমতাধর বলে পরিচয় দেন।
তিনি জানান, ইউরোপে তিনি লোক পাঠাতে পারবেন। এসময় রাকিবুল তার আপন ভাই মাহমুদ হাসান ও শ্যালক আল আমিনকে ইউরোপে পাঠাতে আগ্রহী হন। এরপর জুয়েল ২৫ লাখ টাকা দাবি করেন। একই সাথে দুই মাসের মধ্যে তাদেরকে বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি জুয়েল এ কাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু তাদেরকে বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন। শেষমেষ ২০২০ সালের পহেলা ডিসেম্বর ওই টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩শ’ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করেন জুয়েল। একই সাথে ওই টাকার বিপরীতে একটি চেক প্রদান করেন। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তা ডিজঅনার হয়। পরে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি উকিল নোটিশ পাটালেও জুয়েল কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে বুধবার আদালতে মামলা করেন রাকিবুল।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি