আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে।’
বুধবার রাজধানীর ডেমরা এলাকার এক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নীতি একটি আত্মঘাতী নীতি, যা কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ হঠকারিতার মাসুল তারা এখন দিচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘বিএনপি মহাসচিবকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০০৮ সালে বিএনপি বলেছিল, ‘আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না’। পরে দেখা গেল তাদেরই ৩০ আসন পেতে কষ্ট। এখনও বলছে, আওয়ামী লীগ নাকি ৩০ আসনও পাবে না। সংখ্যাতত্বের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নয়। ব্যালটের মাধ্যমেই জনগণ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। জনরায় যা-ই আসুক, তা মেনে নেওয়ার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। কিন্তু নিজেদের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তার দিবাস্বপ্ন যারা দেখেন, তারা কেন নির্বাচনকে ভয় পান? কেন নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোটকেন্দ্র থেকে পালিয়ে যান? এ পলায়নপরতার রাজনীতি যারা করেন মুখোশের আড়ালে তারাই গণতন্ত্রের শত্রু। তারাই ভোটার ও ভোটাধিকারের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু।’
খুলনা গেজেট/এনএম