সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলিসা গ্রামে একই পরিবারের দু’নাবালক সন্তানসহ তাদের বাবা ও মাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআডি’র পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্র“য়ারি) সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ নিয়ে মামলায় আটজন সাক্ষী দিলেন। আগামী ২ মার্চ বাকী সাক্ষীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর ওই চার খুনের মামলায় অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদীসহ ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। গত ১৪ জানুয়ারি একমাত্র আসামী রায়হানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি এড. আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘুমান্ত অবস্থায় কলারোয়া উপজেলার খলসী গ্রামের শাহিনুর গাজী (৪০) ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩০) এবং তাদের পুত্র সিয়াম হোসেন (১০) ও কন্যা তাছলিমকে (৭) নির্মমভাবে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় শাহিনুর গাজীর শাশুড়ী ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই শাহিনুর গাজীর আপন ছোট ভাই রায়হানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরদিন রায়হানুর রহমান হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম গত ২০ নভেম্বর আদালতে একমাত্র আসামী রায়হানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলী করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামী রায়হানুর রহমান (২৮) আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।