বিভিষিকাময় ২০০৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর; এইদিনে সন্ত্রাসীদের বিস্ফোরণে নিহত হন নগরীর ২৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম কুটু। এবারে ১৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা আ’লীগ।
প্রসঙ্গত্ব, আ’লীগ নেতা কুটু নিহতের ওইসময়ে মহানগর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, কাজী এনায়েত হোসেন, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, ফকির মোঃ সাইফুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে কথা বলছিলেন। সন্ধ্যার কিছু পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ যাওয়ার সাথে সাথেই তীব্র শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে। পুরো এলাকা নিস্তব্দ হয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে ধারণা করা হয় সন্ত্রাসীরা মহানগর আ’লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের উপর হামলা করেছে। পরবর্তীতে কামরুল ইসলাম কুটু’র নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মৃত দেহ হুমায়ূন কবীর ববিসহ কয়েকজন আ’লীগের নেতাকর্মীরা রিকসায় ধরে উঠাচ্ছিল। এরই মধ্যে দেখা যায়, বোমার স্প্রিন্টারে গুরুতর আহত হয় আ’লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম বাবলু, বর্তমান সদর থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির মোঃ সাইফুল ইসলামসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
কর্মসূচি : কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে কুটু’র বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দুপুর ১২টায় ২৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের উদ্যোগে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল এবং নগর আ’লীগের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। কর্মসূচিতে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষ আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নগর আ’লীগের সভাপতি সিটি মেয়র তালকদার আব্দুল খালেক, জেলা আ’লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।
খুলনা গেজেট/এআইএন