আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের কাগমারি গ্রামে পাঁচ বাড়িতে একযোগে হামলা ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মোক্তার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে মোক্তার হোসেন বলেন, গত ২৮ আগস্ট রাত ৮টার দিকে একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পাঁচ ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ১০ ভরি সোনার গহণা, টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
হামলা চলাকালে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব করে বলে অভিযোগ করেন মোক্তার হোসেন। ফলে ভাঙচুরের মধ্যেই সাতটি গরু নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর পুলিশ আসে। পুলিশ কাউকে না পেয়ে ঘটনা দেখে চলে গেলে রাতে আবারও তার বাড়িতে ওই সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় ও আরও পাঁচটি গরু নিয়ে চলে যায়। বর্তমানে তারা পাঁচ ভাই, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত প্রতিকারে তাদের পাশে দাড়ায়নি থানা পুলিশ। এমনকি এ বিষয়েও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পুলিশি নিরবতায় তারা এখন প্রাণের ঝুকি নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছে।
মুক্তার হোসেনের দাবি, চিহ্নিত হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ফারুক হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, সিরাজ, সুরুজ, হানিফ, কবির, সজল, আবুল কালাম, রুবেল, দেলোয়ার, শুভ, আলম, রাসেল, কাদের, হোসেন আলী, হাকিমসহ ১৫/২০ জন।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে কার্যকরি কোনো অভিযান বা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মোক্তার হোসেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।