গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা এবং আওয়ামী লীগ একসাথে যায় না, স্বাধীন বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম কখনোই হয়নি। স্বাধীনতার পর ৭৩ এর নির্বাচন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোন নির্বাচনই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি। ৭৫ এ বাকশাল গঠনের মাধ্যমে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তারই ধারাবাহিকতায় দেশে সকল বিরোধী মতকে দমনে চরমপন্থার আশ্রয় নিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের জন্য নির্ধারিত তারিখ থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করে ২৯ তারিখ রাতেই ভোট কেটে বাক্স ভরে রেখেছিল। আর একাজে সরকারের আজ্ঞাবহ দাস হিসেবে কাজ করেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন। ভোটের বেশ পূর্ব থেকেই গায়েবী মামলা দায়ের করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মিদের হয় গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে নয়তো এলাকাছাড়া হতে বাধ্য করেছে। বহুবিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার করে এখন ডিজিটাল কারচুপি করছে সরকার এবং তার বশংবদ নির্বাচন কমিশন। যে দেশে ভোট ছিল জনগণের কাছে একটা ফেষ্টিবল বা উৎসব সেখানে আজ ভোট মানুষের কাছে একটা তামাশা আর প্রহসনে পরিগণিত হচ্ছে এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মিদের কাছে তা আজ এক ভয়াবহ আতংকের নাম। ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বর্তমান হুদা কমিশনের অধীনে একই চিত্র দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে বুধবার গণতন্ত্র হত্যা দিবসে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনের মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসুচিতে বক্তারা আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর অবস্থা আরো করুণ। কোন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ এখন আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না, কারণ অবস্থা এমন যে সরকার দলীয় প্রতিক পেলে সংশ্লিষ্ট পদমর্যাদা পেতে তা ওই প্রার্থীর জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা। এছাড়া অবিলম্বে “সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল” গঠন করে জরুরি ভিত্তিতে এই কমিশনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করছে বিএনপি তথা দেশের মানুষ।
সভায় বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যা. ডা. গাজী আব্দুল হক, শেখ মুশাররফ হোসেন, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হেগাসেন বাবু, সিরাজুল হক নান্নু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, রেহেনা ঈসা, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, নাজমুল হুদা সাগর, হেমায়েত হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাকসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও অহেদুর রহমান রানা। সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এনএম