খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন “শেখ রাজিয়া নাসের একজন মহিয়সী নারী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কান্তিকালে নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে তিনি পিছনে থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা করে গেছেন। ৭৫ এর পরবর্তী সময়ের শেখ পরিবারের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন মতামত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন সাহসের সাথে কিন্তু সর্বদা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে ভালবাসতেন । ১৫ আগস্টের পর তিনি অবর্নণীয় কষ্ট ভোগ করেছেন তার সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য। তৎকালীন স্বৈরশাসক কর্তৃক তার সন্তানদের খুলনার স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো তারপরও তিনি হাল ছাড়েননি। তিনি তার সন্তানদের কে লেখাপড়া শেখানোর জন্য তার বাবার বাড়ি পাবনায় নিয়ে যান। কিন্তু তারপরও একের পর এক বাধা সৃষ্টি করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক। জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পান্ডুলিপিও তিনি সংরক্ষণ করেন। সকল বাধা উপেক্ষা করে তিনি তার সন্তানদের সুশিক্ষা দিয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্টিত করেছেন, তিনি একজন রত্নগর্ভা মাতা। আমরা তার বিহেদী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, যেন মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করেন।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিনী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচী, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও বিসিবি’র পরিচালক শেখ সোহেল উদ্দিন, নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল ও শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু’র মাতা এবং বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দাদিমা শেখ রাজিয়া নাসের এর রহের মাগফিরাত কামনা করে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা।
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল এর পরিচলানয় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বেগ লিয়াকাত আলী, নূর ইসলাম বন্দ, মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যাপক আলমগীর কবির, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড সাইফুল ইসলাম, এ্যাড শেখ এনামুল হক, কাজী জাকির হোসেন, রণজিত কুমার ঘোষ, অসিত বরণ বিশ্বাস, সফিকুর রহমান পলাশ, মোঃ আমির হোসেন, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এসএম সিরাজুল ইসলাম, আলী রেজা হায়দার রানা, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, বিপুল মজুমদার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সোহেল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদ হোসেন সোহান, রণবীর বাড়ই সজল, এখতিয়ার মোল্লা, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, ইয়াসিন আলী, রুবায়েত ইসলাম জুয়েল, মেহেদী হাসান মান্না, পাপ্পু সরকার, জাহিদুর রহমান জাহিদ, তাইজুল ইসলাম তাজ, দিদারুর আলম, সৌরভ আশ, সুমন শেখ, প্রণব চক্রবর্তী, রহমত সরদার, লাবিব হোসেন মিথুন, মেহেদী হাসান সুজন, কামরুল ইসলাম অপু, মাহামুদুল ইসলাম সুজন, মোঃ কামাল হোসেন, শিকদার রাসেল, শেখ সাকিব, কামরুজ্জামান ইমরান, সোহান হোসেন শাওন, আরাফাত মিয়া, তায়েজুল ইসলাম তাজ, ইবনুল হাসান, মাহামুদুর রহমান রাজেস, আব্দুল কাদির সৈকত, হিরণ হাওলাদার, তরিকুল ইসলাম তুফান, এমএ হোসেন সবুজ, মেহেদী হাসান স্বপন, বায়েজিদ সিনা, আহানাফ অর্পন, জোয়েব সিদ্দিকী, সাইফুল ইসলাম, সাজু দাশ, নাজমুল হক অয়ন, পারভেজ শিকদার, মশিউর রহমান বাদশা, জিসান আরাফাত, ইমরান হোসেন বাবু, শাহ আরাফাত রাহীব, মেহেদী হাসান সজিব, সৈকত দাশ, মোঃ গালিব হোসেন, শাহরিয়ান নেওয়াজ রাব্বি, জসিম উদ্দীন, অভিজিৎ সরকার রাহুল, ওমর কামাল, সোহান সাদী, শফিকুল ইসলাম মুন্না, জনি বসু, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুমান আহমেদ, আতিকুর রহমান সোহাগ, চয়ন পোদ্দার, পিয়াল হাসান, চয়ন চৌধুরি, ফাহিম ফয়সাল ওপল, মাহামুদুল হাসান, রাব্বি আহমেদ, আবিদ আল হাসান, রায়হান শিকদার প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ শাহেদ হুসাইন। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।