খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

আমদানি-রফতানি গতিশীল করতে বেনাপোলে বাণিজ্য সচিবের সভা

শার্শা প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে বাণিজ্য সহজিকরণ, যশোর-বেনাপোল সড়ক প্রশস্তকরণ, শুল্ক আদায়ে জটিলতা নিরসন, আমদানি পণ্য সংরক্ষণে অতিরিক্ত শেড নির্মাণ, রেলযোগে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি, কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বেনাপোলে পণ্য নিয়ে আসা ফিরতি ট্রেনে বাংলাদেশের পণ্য ভারতে রফতানি এবং বন্দরের অবকাঠামো বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের কনফারেন্স রুমে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থলবন্দর বেনাপোলের পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান।

মতবিনিময় সভায় স্থলবন্দরের বিরাজমান সমস্যাগুলি তুলে ধরেন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। সমস্যা গুলোর মধ্যে একাধিক ব্যবসায়ীর বক্তব্যে উঠে আসে বেনাপোল স্থলবন্দরে জায়গা সংকট। এ সংকটের কারণে আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে সময় মত উঠানামা করতে না পারায় ডেমারেজ গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। সব থেকে বড় অসুবিধা হলো একটি আমদানি পণ্য ট্রাক ভারত এর কালিতলা পার্কিংয়ে এক মাসের বেশী সময় অতিবাহিত করে। সেখানে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার ফলে ট্রাকের ডেমারেজ গুনতে হয় প্রতি ট্রাকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রুপী। এতে ব্যবসায়ীদের লোকসানও গুনতে হয় কখনো কখনো। আবার রফতানি পণ্য নিয়ে সেদেশের বিএসএফ নানা ধরনের হয়রানি করে থাকে বাংলাদেশী ট্রাক চালকদের। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাক গেলে সেখানে চালকদের সাথে অমানবিক ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগে উঠে আসে।

বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো: আজিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে এখন ৪ থেকে ৫ শত ট্রাক দেশে প্রবেশ করছে। জায়গা সংকটের জন্য আইন বহির্ভুত ভাবে বন্দর এলাকার বাইরেও রাখতে হয় পণ্য। শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, র’মেটেরিয়াল সড়ক নির্মানের পাথরসহ অন্যান্য সামগ্রী এ পথে আমদানি হয়ে থাকে। কিন্তু বন্দরে জায়গার অভাবে আমরা সময় মত সকল পণ্য একসাথে গ্রহণ করতে পারি না। ইতিমধ্যে বেনাপোল বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে এখানে প্রয়োজন আগে বন্দর এর জায়গা সম্প্রসারণ করা। এর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন।

বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ীদের সকল অভিযোগ খুব দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, কাষ্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান, বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল ও মামুন কবির তরফদার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন, ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, সিএন্ডএফ সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন, সহ বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!