অংশিত হৃদয় মাঝে
একান্তে, নিভৃতে পুষে রাখি
নানা রূপে বিদ্যমান কিছু
অকর্মনিষ্ট বন্য খেয়াল
সেখানে প্রকষ্টে ঘুমিয়ে থাকে এক নখরায়ুধ
মাংস লোভী লকলকে কর্কশ জীভে তার লালাময় রক্ত পিপাসা
তীক্ষ্ম নখে শান দিয়ে বসিয়ে দিতে চায়
হৃৎপিণ্ড ভেদ করে
এ আমার বন্যতার দান
বন্যতা মনের উপবনে অধিষ্ঠিত
আরো এক প্রকোষ্ঠে রয়েছে একটি মার্জার
গন্ধ শুঁকে চলে নিয়মিত, খুঁত খুঁতে, সন্দিগ্ধমনা
হওয়ায় ভাসা গন্ধ শুঁকে সুযোগ বুঝে
খেয়ে সাফ করে মুখ মুছে ফেলে,
লুকিয়ে ফেলে সব প্রমাণ মাটি খুঁড়ে
মিষ্টি মুখে ঘোরে ফেরে
লুকিয়ে পিঠে ছুরি মারে
আছে একটা ঘোঁত ঘোঁতে জাবনা কটা ধর্মের ষাঁড়
সারাদিন খাচ্ছে আর জাবর কাটছে
থেকে থেকে ঝিমোচ্ছে আর শিং বাগিয়ে তাড়া করছে
এক কোণে আছে একটা ছোট্ট রঙিন মাছ
অতলান্ত নদীর বুক চিরে
উড়ুক্কু মাছের সঙ্গে ডানা মেলে
লাফিয়ে লাফিয়ে
জল ছিটিয়ে,
তিমির মত ফোয়ারা উড়িয়ে
বুদ বুদের মালা ছড়িয়ে
উঠে আসে মন ভিজিয়ে
আরও আছে একটা জল ফড়িং
ভেজা চোখে, মেঘ খুঁজে যায় সারাদিন
মন জুড়ে চলে তার নৌকা বাওয়া
মনে মনে হারিয়ে যাওয়া,
ফেরার পথে, সরণি বেয়ে
চলে তার নীল সবুজের খেলা
আছে আমার প্রিয় ছোট্ট মনপাখি
নাম দিয়েছি, ইচ্ছে পাখি
আপন খেয়ালে নড়ে, চড়ে,
উদাস বাউল বানিয়ে রাখে
মেলে তার ছোট্ট ডানা ,
ছেড়ে দিয়ে ঘরের কোণা
হেসে খেলে অন্তরালে মনের অভাব পূরণ করে
এরা সবাই থাকে মন মুকুরে
মাথার মধ্যে, হৃদয় জুড়ে, মুখোশের আড়ালে
ভিড়ে যখন একলা থাকি,
বন্য আমিকে ছুঁয়ে দেখি।
খুলনা গেজেট/এনএম