খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্র দেশে ব্যবসায় পরিবেশ নিশ্চিতের অন্যতম বাধা : সিপিডি
  সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তার স্বামীর পাসপোর্টের আবেদন স্থগিত

আতাই নদের বাঁধ ভেঙে অভয়নগরে তিন গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

অভয়নগর প্রতিনিধি

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত আতাই নদের বাঁধ ভেঙে তিন গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শত শত পরিবার জলাবদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কার ও স্থায়ী সমাধানের দাবি করেছে গ্রামবাসী। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জানা যায়, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে বয়ে যাওয়া মজুদখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আতাই নদ। সেই আতাই নদের বাঁধ ভেঙে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। যে কারণে তিন গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

জলাবদ্ধ গ্রামবাসী জানায়, শান্তিপুর গ্রামে ঋষিপাড়া অংশে বাঁধ ভেঙে নদের পানি ঢুকতে শুরু করে। সকাল হওয়ার পূর্বে বাঁধের ২/৩শ’ মিটার অংশ ভেঙে শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। সরেজমিনে, বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি অবস্থায় তিন গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শান্তিপুর, চন্দ্রপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িতে পানি উঠায় রান্নাবান্নাসহ কোন কাজ করতে পারছেন না অনেকেই। এতে বাধেঁর কারণে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বাঁধটি ঠিক না করলে আরও আনেক ক্ষতি মুখে পড়বে এলাকাবাসীরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর খান বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতাই নদের বাঁধ ভেঙে আমার গ্রাম চন্দ্রপুরসহ পাশ্ববর্তী শান্তিপুর ও রামনগর গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। প্রায় তিনশ’ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। যে কারণে তিন গ্রামের মানুষ, গবাদিপশু, মাছের ঘের ও বেশ কয়েকটি রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান এ কামাল হাচান বলেন, বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি অবস্থায় তিন গ্রামের প্রায় হাজার হাজার মানুষ আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না, বরং বাঁধের একটি স্থায়ী সমাধান দাবি করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম আবু নওশাদ বলেন, বিষয়টি জানার পর যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কারের কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোড কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কয়েকটি রাস্তা চলাচল উপযোগী করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!