১.
বাংলা ভাষা শব্দের উচ্চারণে আমার হৃদয়ের যত আবেগ,
চিরদিন রয়; মায়ের মমতাভরা-প্রাণের মধুর আবেশ।’
বাংলার স্বাধীন শব্দমালায় অনাবিল হাসি –
ভালোবাসা সুখে কবিতাছন্দে হৃদয়ের বর্ণমালা, কথামালায়
– নতুন ব্যঞ্জনা-রাশি রাশি! বাংলা ভাষার গতি –
– যেন ধ্রুবতারার আলোকরশ্মি!
অনেক আনন্দ-বেদনায় বাংলা শব্দের পংক্তিমালায় –
– বুকের বাসনা অনল! -কৌতূহল অবিনাশী।
সহসা আকাঙ্ক্ষা মিশে যায়, গীত, পুঁথি, সনেটগুচ্ছ
আলাওল পদ্মাবতী, রূপ-বন্দনায়। এখনও খুঁজে বেড়াই,
প্রাচীন ও মধ্যযুগের সাহিত্য ভান্ডার, প্রাচীন চর্যা
পদাবলী! আখ্যানকাব্য, সোনাভান, কালকেতু –
উপাখ্যান, লোকগাঁথা, পয়ার ছন্দ, লালন গীতি!
মরমী সাধকের আধ্যাত্মিক তত্ত্বজ্ঞান, সমৃদ্ধ পাঠাগার|
২.
বায়ান্নের ভাষা শহীদের অনেক আত্মত্যাগে, প্রত্যয়ে,
অমর আত্মার গৌরবে, এই বাংলায়, বর্ণ-পরিচয়,’
রক্ত রাঙা রাজপথে, গোলাপ, বেলী, রজনীগন্ধা, আর
পলাশের সুগন্ধিতে হৃদয়-বুক তন্ময়।
অমর একুশে ভাষা সৈনিক, শহীদের অনেক
স্মৃতির মিনার ফুলে ফুলে সাজে অনুরাগে, ভালোবাসা
অপরূপে । আলপনা আঁকা পায়ে হাটা পথ
বিচ্ছুরিত আলোর ঝলকে, ছড়িয়েছে বাংলা ভাষা বিশ্বময়।
আমার হৃদয়ের যত সুখ, বাংলা শব্দের –
শুদ্ধ উচ্চারণে, আধুনিক ঝংকারে –
চিত্রকলা, চারুকলায় ভাষার ঐতিহ্য, গৌরব যে
বাড়ে । নয়নের সুরভি ছড়ায় আবহ বাংলার
সবুজ ছায়া;-বৃক্ষলতা ঘিরে।
অমর একুশের, ‘পায়ে হাটা ঊষার প্রহরে’
– আমার মনের উচ্চাভিলাষ চেতনা, সবুজ ঘাসের
শিশির ভেজা ফাগুনের রক্ত রাঙা –
কাব্যিক ছন্দ-আঁকা’ রুপালী, সোনালি ভোরে।
খুলনা গেজেট/ এস আই