খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

অভয়নগরে যুবলীগ নেতা হত্যা, ৫ দিন পর আটক ১

অভয়নগর প্রতিনিধি

অভয়নগরে যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের ৫ দিন পর ১০ নং এজাহারভুক্ত আসামী বাবুল আক্তারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার মধ্যে রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

বাবুল আক্তার উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের তরফদারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তাকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় যশোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম মুরাদ হোসেনকে রোববার রাতে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত, ডান পা কেটে শরীর থেকে বিছিন্ন করে ফেলে ও পেটে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে নাড়ী ভুড়ি বের করে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি এসে তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ঘটনার পর দিন স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্বে লাশ নিয়ে নওয়াপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। সেখানে হত্যার বিচারসহ আসামিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করা হয়। নিহত মুরাদ হোসেন উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুল ইসলামের ছেলে। সে ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে গত মঙ্গলবার রাতে নিহত মুরাদের বোন লিলি বেগম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় হত্যা মামলা দয়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ওবেদ ফারাজীর ছেলে শাহীন ফারাজীকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা হলেন আনোয়ার হোসেনের ছেলে কেএম আলী, জলিল শেখের ছেলে ও স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সালাম শেখ ও তার ভাই আলমগীর শেখ,মৃত বারিক শেখের ছেলে আজিম শেখ,পীর মোহাম্মদের ছেলে রিপন গাজী,মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে বিল্লাল হোসেন,মৃত আব্দুল মজিদ খাঁ এর ছেলে রুহুল আমিন খাঁ,লতিফ মিনার ছেলে রাসেল মিনা।ঘটনার মোটিভ উদঘটন পূর্বক প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক সংস্থা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

জেলা পুলিশ বুরো অব ইভেস্টিগেশন(পিবিআই) এর ইন্সিপেক্টর শেখ মোনায়েম ও সাব ইন্সিপেক্টর মিজানুর রহমান জানান, তারা মামলার মোটিভ উদঘটনের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রকৃত আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত মোটিভ উদঘটন করা সম্ভাব নয় । তারা আশা করছেন দ্রুত মোটিভ উদঘটন ও আসামী গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মুরাদ হত্যা ১০ নং আসামি বাবুলকে আটক করা হয়েছে। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে । অভিযান অব্যাহত আছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!