যশোরের অভয়নগরে বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে মহিলা স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
জানাগেছে ,যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫০নং গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারের বিরুদ্ধে শুভরাড়া ইউনিয়ন সিনিয়র স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তা মমতাজ খাতুন লিখিত অভিযোগ করেন। ওই সূত্র ধরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুননাহার হাসিনা বানু এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছেন। বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারকে তলব করে শুনানি করেন । এরপর বাদী স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তা মমতাজ খাতুনকে ডেকে বিস্তারিত শুনানি নেন।
মমতাজ বেগম জানান, বিদ্যালয়ের দপ্তরী লিটন সরদার তার সঙ্গে নোঙরা আচরণ করে কুপ্রস্তাব দেন। তাই উপজেলা সহকারী কামরুননাহার হাসিনা বানু তার দপ্তরে ডেকে বিষয়টি বিস্তারিত আমার কাছ থেকে জানেন। অভিযুক্ত দপ্তরী লিটন সরদার বলেন, শ্লীলতাহানির অপরাধে জরিমানা দিয়েছি গ্রামবাসীর চাপে ২০ হাজার টাকা। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আমাকে নোটিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুননাহার হাসিনা বানু বলেন, গাপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে ডেকে শুনানি করেছি। এলাকাবাসীদের যে অভিযোগ গুলো লিখিত আকারে নেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ করিম জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। সহকারী শিক্ষা অফিসার কামরুননাহার হাসিনা বানুসহ তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বব পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ৫০নং গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদানে ব্যস্ত ছিলেন। সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় উক্ত বিদ্যালয়ের দপ্তরী লিটন সরদার তার সঙ্গে নোঙরা আচরণ করে কুপ্রস্তাব দেন। উপজেলার ৫০নং গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. লিটন সরদারের বিরুদ্ধে শুভরাড়া ইউনিয়ন সিনিয়র স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তা মমতাজ খাতুন লিখিত অভিযোগ করেন বিভিন্ন দপ্তরে।