অভয়নগরে শ্রমিকের পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে আটকে রেখে মারপিট ও নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৯৯৯ ফোনে কল করে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
পরে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বড়াল গ্রামে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বড়াল গ্রামের মোঃ জাকুর মোল্যার ছেলে মোঃ সোহাগ মোল্যা(২০) র্দীঘদিন ধরে উপজেলার সিংঙ্গাড়ী গ্রামের সামছুর মোল্যার বাড়িতে মাসিক বেতনে কাজ করত। এক মাস হওয়ার পর সোহাগ তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেলিম মোল্যা বেতন পরের মাসে দিবে বলে কাজ চালিয়ে যেতে বলে। এ ভাবে কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তার পাওনা টাকা দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে টাকা চাইলে মালিক পক্ষ সোহাগের উপর নির্যাতন করতে থাকে। গত রবিবার রাতে সোহাগের বাড়িতে যেয়ে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোর করে জবর দখলের চেষ্ঠা করে। এসময় সোহাগ ও তার মা মারুফাবেগম বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগকে মালাধরা গ্রামের সাইফুল মোল্যার বাগানে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতন করতে থাকে। এসময় মারুফাকে ইট দিয়ে সেলিম মোল্যা আঘাত করতে থাকে। এতে মারুফা গুরুত্ব আহত হন। এলাকাবাসি খবর পেয়ে মারুফাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্য দিকে সোহাগকে না পেয়ে স্থানীয়রা খোঁজাখুজি করতে থাকে। এসময় আকরাম মোল্যা নামক এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে অভয়নগর থানার সহযোগিতায় থানা পুলিশ ওই বাগান থেকে সোহাগকে উদ্ধার করে।
সেলিম মোল্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সোহাগের কাছে টাকা পাই। টাকা না দেয়ার জন্য আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে পাথালিয়া ক্যাম্পের টু আইসি জানান, আমরা খবর পেয়ে ভাটপাড়া ক্যাম্পের এ এস আই আলমগীরের সহযোগিতায় সোহাগকে উদ্ধার করি। বিষয়টি নিয়ে সোহাগের মামা মোঃ তমজিদুল কাজী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সোহাগের মা মারুফাকে মারপিট করা হয়েছে। এব্যপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা হলে থানার অফিসার ইনর্চাজ একেএম শামীম হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই