যশোরের অভয়নগরে জাহাজ থেকে কয়লা চুরির অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৭১০ (২১ বস্তা) কেজি কয়লা। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিবুল ইসলাম (২১) নামে জাহাজের সুকানীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া নদীবন্দরের তালতলা এলাকায় সরকার এন্ড ব্রাদার্সের ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ দিন বিকালে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা হয়েছে।
আটক রাকিবুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর উপজেলার সিও অফিস মোড় এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। সে কয়লাবহনকারী এমভি ডায়ম- অব খুলনা নামক জাহাজের সুকানী।
মামলার বাদী সরকার গ্রুপের রাজু আহম্মেদ জানান, সরকার গ্রুপের আমদানী করা কয়লা মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এমভি ডায়ম- অব খুলনা নামের জাহাজে করে নওয়াপাড়া নদীবন্দরের সরকার এন্ড ব্রাদার্সের ঘাটে আসে। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে জাহাজের সুকানী রাকিবুল ইসলাম, অভয়নগরের একতারপুর গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে ইমন সরদার, বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে সোহেল খান, একই গ্রামের সাঈদ মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা ও অভয়নগরের একতারপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ম-লের ছেলে সুমন হোসেন ম-লসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন একটি ট্রলার নিয়ে জাহাজের পাশে নোঙর করে। এসময় তারা জাহাজে কর্মরত শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ২১ বস্তা কয়লা যার ওজন ৭১০ কেজি, মূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা ট্রলারে ওঠানোর চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, এসময় ঘাটের ম্যানেজার জামাল হোসেনসহ ঘাটে কর্মরত শ্রমিকরা চুরি করা কয়লাসহ জাহাজের সুকানী রাকিবুল ইসলামকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রাকিবুল ইসলামসহ ২১ বস্তা কয়লা (৭১০ কেজি) উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিন বিকালে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকার এন্ড ব্রাদার্স ঘাট সরদার সেলিম শেখ জানান, ঘাটে নোঙর করা এমভি ডায়ম- অব খুলনা নামের জাহাজের হ্যাজ থেকে চুরির উদ্দেশ্যে বস্তায় কয়লা ভরা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ঘাটে আসেন। পরে বিষয়টি তিনি ঘাটের ম্যানেজারকে জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, এমভি ডায়ম- অব খুলনা নামের জাহাজ থেকে ২১ বস্তা (৭১০ কেজি) কয়লা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই জাহাজের সুকানীকে আটক করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্যান্য পলাতক আসামি আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড