খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

অভয়নগরে কয়লা তৈরির ৫৮ চুল্লি উচ্ছেদ

অভয়নগর প্রতিনিধি

স্থানীয় এলাকাবাসীর অব্যাহত অভিযোগ ও বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের। খুলনা ও যশোরের সীমান্তবর্তী অভয়নগরের সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের সেই অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানার চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সোনাতলা অঞ্চলের কাঠ কয়লার ৫৮ টি চুল্লি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক থান্দার কামরুজ্জামান এর নেতৃত্বে ভেঙে দেয়া হয়। যদিও অভিযানের আগেই চুল্লি মালিকদের কাছে খবর পৌছে যাওয়ায় তারা বিপুল পরিমাণ কাঠ ও কাঠ থেকে কয়লা তৈরির সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হতবাক হয়েছেন। সেই সাথে পূর্বের ন্যায় ফের এসকল চুল্লি তৈরি হয়ে যেতে পারে এমনটি আশংকা করেছেন তারা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অগোচরে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিল স্থানীয় কিছু প্রভাশালীরা। ইতোমধ্যে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের মাধ্যমে চুল্লিগুলো ভেঙ্গেও দেওয়া হয়।কিন্তু পরবর্তীতে কোন এক অদৃশ্য শক্তি নিয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন এই অকর্মের কাজ।

স্থানীয় ভূক্তভোগিরা জানান, সংবাদপত্রে ঘটনা প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার সকালে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশের সহযোগিতায় ৫৮ চুল্লি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: হারুন অর রশিদ, অভয়নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমলকৃষ্ণ দাস, নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মেজবা ফকির,ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা প্রশান্তকুমার শীল এবং আমতলা ক্যাম্প ইনচার্জ মো.রফিকুল ইসলামসহ আমতলা ও সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ৫৮ টি কয়লার চুল্লি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে এধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!