মোংলায় সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মার্কেট ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসফাকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম পৌর শহরের ১ নং জেটি সংলগ্ন এলাকায় এসে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
এসময় অভিযুক্ত টিটু শেখ কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তা ধোপে টেকেনি। এর আগে তাকে এই জায়গা ছেড়ে দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সাত দিনের নোটিশ দেয়। কিন্তু সেই নোটিশের পরোয়া না করে টিটু তার মার্কেট ঠেকাতে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিদের কাছে দৌড়ঝাপ করে। শেষ রক্ষা না হওয়ায় ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে তার অবৈধ মার্কেট।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসফাকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মোংলা নদী পাড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের জায়গা রাতারাতি দখল করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্থাপনা করে। পাকা ইমারত করে গড়ে তোলে একাধিক মার্কেট। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। সম্প্রতি মার্কেট নির্মাণকারী টিটু নামে এক ব্যক্তিকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে মার্কেটে সরিয়ে নিতে নোটিশ করা হয়। কিন্তু তিনি তা করেননি। নোটিশ অমান্য করায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
তবে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে মাসফাকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকতারা ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে টিটু শেখ বলেন, ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে সে জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছিল। এখন তারাই আবার উচ্ছেদ করছে’।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোঃ শাহীনুর আলম বলেন, কাউকে এই জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এটা অবৈধভাবে দখল করেছে। তাই উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
এদিকে এই জায়গা মোংলা ঘাট শ্রমিকদের বিশ্রামের জন্য নির্ধারিত করে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি উদ্ধোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। কিন্তু শ্রমিকদের সেখান থেকে নামিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতার বলে টিটু সে জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে। এনিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন সহ নানা আন্দোলন করতে থাকেন তারা। তাদের জায়গা ফিরে পেতে গত ৫ সেপ্টেম্বর ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ঘাটের শ্রমিকরা।
খুলনা গেজেট/ টিএ