সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান অবশেষে শপথ গ্রহণ করলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১ নং কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রæয়ারী) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির তাকে সহ সাতক্ষীরা জেলার মোট ৬ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

জানা যায়, তৃতীয় ধাপে ২০২১ সালের ২৮ শে নভেম্বর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ও দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার ( ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কালিগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউপিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাফিয়া পারভীন। ভোট গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত ঘোষনা করেন। কিন্তু তার প্রতিদ্ব›িদ্ব পরাজিত প্রার্থী নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন দাখিল করলে কালিগঞ্জের ১ নং কৃষ্ণনগর ইউপির নির্বাচনের ফলাফল স্থগিদ করা হয়। ফলে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টির নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেও শপথ নিতে পারেননি ১নং কৃষ্ণনগর ইউপি’র নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার তিনি শপথ গ্রহণ করলেন।

প্রসঙ্গতঃ বিগত ২০১৬ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং কৃষ্ণনগর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোশাররফ হোসেন। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তিনি। পরে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নিহত মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি। তিনি ছিলেন সাতক্ষীরার নির্বাচিত প্রথম মহিলা ইউপি চেয়ারম্যান।

এদিকে বিগত ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ও সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকি’র মেয়ে সাফিয়া পারভীন। নির্বাচনে তিনি ৩৬৩ ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। এর আগে তপসিল ঘোষনা হওয়ার পর মা ও মেয়ে দু’জনেই মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মা আকলিমা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ও মেয়ে সাফিয়া পারভীন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে। পরে মা তার মেয়েকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।