ইতিহাসটা হাতছানি দিচ্ছিল। ওয়েম্বলিতে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ইউরো কাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নামার আগেই টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নামের পাশে ইতালির।
সেই ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সালে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইতালি। সেই রেকর্ডটি ভাঙতে হলে দরকার ছিল একটি জয় কিংবা নিদেনপক্ষে ড্র।
অস্ট্রিয়ার সামনে তাই চ্যালেঞ্জটা ছিল বেশ বড়। কিন্তু ম্যাচের শুরুর দিকে উল্টো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল তারাই। এরপর সময়ের সঙ্গে ইতালি খেলায় ফিরলেও পায়নি গোলের দেখা। জাল খুঁজে পাননি অস্ট্রিয়ার ফুটবলাররাও।
শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই প্যাডরিকও চাইসা ও মাটেও পাসসিনা গোল করে ব্যবধান গড়ে দেন। অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন সাসা কালাজিক। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছে রবার্তো মানচিনির দল।
রোববার রাত একটায় শুরু হওয়া ম্যাচে পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে ছিল ইতালি। কিন্তু ম্যাচের শুরুতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অস্ট্রিয়া। তাদের দারুণ পাসিংয়ে বল নিয়ে এগিয়ে চলা ভালোভাবেই পরীক্ষায় ফেলে ইতালির রক্ষণভাগকে।
মাঝেমধ্যেই নিজেদের চেনা রূপে দেখা যাচ্ছিল ইতালিকেও। কিন্তু ম্যাচে মিলছিল না গোলের দেখা। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে কাটার পর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরির্তন আনেন দুই দলের কোচ।
নিকোলাস ভেরেলার জায়গায় পাসসিনা ও ডমিনিকো ভেরাডির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন চাইসা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ফল নির্ধারিত না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তখন গোল করে ইতালির জয় নিশ্চিত করেন এই দুই বদলি ফুটবলারই।
ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা মিলে অতিরিক্ত সময়ের পাঁচ মিনিটে। লিওনার্দো স্পিনাজ্জেলার কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে বল জালে জড়ান চাইসা। এর দশ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ইতালি। ফ্রান্সেসকো আছেরবির অ্যাসিস্টে গোল করেন পাসসিনা।
দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি ইতালি। ম্যাচের ১১৪ মিনিটে লুইস স্কাহোভের বাড়ানো বল হেডে গোল করেন সাসা। যদিও পরে আর কোনো নাটকীয়তা ঘটেনি। ২-১ গোলের জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছি রবার্তো মানচিনির দল। আর তাতেই টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে নিজেদের গড়া ৮২ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছে তারা।
খুলনা গেজেট/ টি আই