গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের চলমান বর্বরতা চালাচ্ছে। এর বড় প্রভাব পড়েছে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বদের ওপর। ফিলিস্তিনের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০০ জন ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আইকে ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ইসারায়েল বাহিনী পাঁচশরও বেশি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। দখলদার সেনাদের হামলায় আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে আরও অসংখ্য মসজিদ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদও। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছেন তাইসার ইব্রাহিম, নাজিবা আল-দালিস, আওনি ওন, ওয়ায়েল আল-জির্দ, বাসিম আল সাফাদিসহ ফিলিস্তিনের প্রসিদ্ধ আলেমরা।
মুসলিমদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের পাশাপাশি খ্রিস্টানদের গির্জাও ইসরায়েলিদের বর্বরতা থেকে রেহাই পায়নি। এখন পর্যন্ত তাদের হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিসসহ অন্তত তিনটি গির্জা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে। ওই মুখপাত্র জানান, “ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। অর্থাৎ তাদের ওপর হামলা করা মানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করা।”
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইমামসহ অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিরা শরণার্থী শিবির ও হাসপাতালগুলোতে শান্তির বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদগুলো আবারও নতুন করে খুলছেন এবং কোরআনের শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে