খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

৪৫০ ‘ভুতুড়ে পত্রিকা’র তালিকা তৈরি, একশ’র ডিক্লেয়ারেশন বাতিলের নির্দেশ

গেজেট ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত দুই বছরে ৪৫০টি পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন থাকার পরও এক কপিও বের করেনি। এগুলোর মধ্যে ১০০ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার জন্য জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সাংবাদিকতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের জন্য যা কিছু করেছেন, তা অতীতে কেউ করেননি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে যদি আমরা তুলনা করি, সেই তথ্যে আমরা দেখতে পাই, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের জন্য যে ব্যবস্থাগুলো ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে, আশেপাশের দেশে তা করা হয়নি। যারা বড় বড় কথা বলেন এবং দলাদলি করেন, তারা কিন্তু এই কাজগুলো করেননি। গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করেছেন সেটি অন্য কোনো সরকার করেনি।

তিনি বলেন, আজকে ৩৭টির মতো টেলিভিশন চ্যানেল, দুই একটি আরও অনএয়ারে আসবে খুব শিগগিরই। এতগুলো প্রাইভেট চ্যানেলের কারণে কিন্তু অনেকগুলো কর্মসংস্থান হয়েছে। এই যে এত মেধাবী শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতায় লেখাপড়া করে বের হচ্ছে, এই প্রাইভেট চ্যানেলগুলো না থাকলে তারা কোথায় চাকরি করতো। একইসঙ্গে পত্রপত্রিকার সংখ্যা ৪৫০ ছিল, সেখান থেকে এক হাজার ২৫০ হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনলাইন গণমাধ্যম।

যেসব পত্রিকা ডিক্লেয়ারেশন নিয়ে সেই অনুযায়ী চলে না বা পত্রিকা বের করে না, সেগুলোর ডিক্লেয়ারেশন রাখার যৌক্তিকতা কী- এমন প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি ৪৫০ পত্রিকা গত দুই বছরে একটি কপিও বের করেনি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এই পত্রিকাগুলো করে কী? তারা বিভিন্ন সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয়, একটা কার্ড দেয় এবং তাদের কোনো বেতন দেয় না। এগুলো হচ্ছে ‘ভুতুড়ে পত্রিকা’। এসব পত্রিকায় যারা কাজ করে তারা বেতন পায় না, ফলে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, নানা কিছুর সঙ্গে যুক্ত হয়। আর সেই বদনাম সাংবাদিক সমাজের ওপর পড়ে। এ জন্য এসব ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ১০০টি ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করার জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে বাকিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ তারা বিজ্ঞাপনে ভাগ বসায়, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন এক কপি ছাপায়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!