৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৭৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গত রোববার (২৪ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকার ১৬৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ বি.পি.এস.সি-এর কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাধারণ ক্ষমতা অর্পণপূর্বক মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারার বিধান মোতাবেক তাদের নামের পাশে বর্ণিত আইনে পরীক্ষাকেন্দ্র/অধিক্ষেত্রে এবং সময়কালে ক্ষমতা প্রদান করে নিয়োগ করা হলো।
অন্যদিকে সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো :
১। প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
২। প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।
৩। প্রশ্নপত্র দেয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না।
৪। কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনোরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫। পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬। পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
৭। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৮। প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
৯। প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
১০। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।