গত দুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশাচালকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। তবে আগামীকাল রোববার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান।
শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই দিন যা ছিল দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
শহরের রিকশাচালকরা জানান, গত দুই দিন যাবত তারা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তীব্র রোদে রিকশা চালাতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছেন। কিছুক্ষণ পরপর বিশ্রাম নিচ্ছেন।
শহরের মুদি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ফ্যানের বাতাস যেন গায়ে লাগছে না। সব থেকে বাচ্চারা কষ্ট পাছে। রাতে ভ্যাপসা গরমে তারা ছটফট করছে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কমতে পারে।
খুলনা গেজেট/এএজে