পটুয়াখালীতে আকস্মিক ৪০ সেকেন্ডের টর্নেডোর আঘাতে শাহিন হাওলাদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় তার মেয়ে সানিয়া আক্তার (১৭) ও এক রিক্সা চালক আহত হন। এ ছাড়া ঘর-বাড়িও বিদ্ধস্ত হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে শহরের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই রেড ক্রিসেন্ট ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি চলছিল। এ সময় হঠাৎ দমকা বাতাসে তিনটি ঘরের চালা কয়েকশ ফুট ওপরে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় নদীতে গোসল করছিলেন শাহিন হাওলাদার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই টিনের আঘাতে গলা কেটে তার মৃত্যু হয়। এ সময় ঘর চাপা পড়ে শাহিনের মেয়ে শাহিনা আক্তার ও এক রিক্সাচালক আহত হন।
শাহিন হাওলাদার শহরের চরপাড়া এলাকার মৃত খবির হাওলাদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। শাহিনের এক স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে।
চরপাড়া এলাকার দুলাল খান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ টর্নেডো শুরু হয়। বাতাসে ঘর-বাড়ি উড়ায়ে নিতেছিল। আকাশে টিন উড়তেছিল। এমন সময় শুনি শাহিনের মাইয়া ঘড়ে চাপা পড়ছে, পরে ওরে উদ্ধার করি। কিন্তু শাহিন আছেলে নদীর পাড়ে, ওরে খুঁজতে যাইয়া দেখি নাই, শেষে নদীতে দেহি গলা দিয়া রক্ত পড়তেছে। পরে তারে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তারে বলছে মারা গেছে।
নিহত শাহিনের খালা চান ভানু বলেন, ঝড়ের সময় সানিয়া ঘরে ছিল। ঝড়ে সানিয়া ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে। সবাই যখন তাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলাম তখন, নদীর পাড়ে শাহিনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। টিন উড়ে তার গলায় পড়ছিল।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ টর্নেডোতে তিনজন জন আহত হয়। এ সময় শাহীন হাওলাদার নামে একজনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই