খুলনার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল মান্নান মিস্ত্রিকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে নগরীর নিরালা নিজ বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাক পরিহিত কিছু ব্যক্তি। গত দুই দিন খুলনার বিভিন্ন থানা, গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে গিয়েছে মান্নানের পরিবার ও ছাত্রদল নেতারা। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।
মান্নানের ভাগ্নী মুন্নি খাতুন বলেন, বুধবার দুপুরে নিরালা ভাড়া বাসায় সাদা পোশাকে ৮ জন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তাদের সবার কাছেই অস্ত্র ছিলো। তারা মান্নানকে তুলে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর থেকে মামার কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছি না।
নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকা খুলনা সদর থানার ভেতরে পড়েছে। থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, আবদুল মান্নান মিস্ত্রী নামের কেউ আটক নেই। একই তথ্য জানান খুলনা নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার বি এম নুরুজ্জামান।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, আবদুল মান্নান মিস্ত্রীর বাবা-মা নেই। স্ত্রীও ক্যান্সারে আক্রান্ত। ছোট মেয়ের বয়স মাত্র দুই বছর। তার ছোট ভাগ্নি বিভিন্ন থানায় গিয়েছে। আমরাও আদালত, কারাগারে খোঁজ নিয়েছি, কোথাও সভাপতি নেই।
তিনি বলেন, অবরোধের আগে পরে যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে সবাইকে ৭/৮ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে পাঠিয়েছে। কিন্তু দুই দিনেও জেলা সভাপতিকে আদালতে না পাঠানোয় আমরা উদ্বিগ্ন।
খুলনা গেজেট/এইচ