খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

৩৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের টার্গেট মোংলা বন্দরের

মোংলা প্রতিনিধি

দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলায় একদিকে যেমন বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে অন্যদিকে বেড়েছে রাজস্ব আয়। করোনাকালীন সময়ে দেশের অন্যান্য বন্দরের কার্যক্রম কিছুটা স্থবির থাকলেও মোংলা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২৪ ঘন্টাই সচল রাখা হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।সারাদেশে করোনার সংক্রমণ থাকলেও বন্দরের আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো প্রভাবই পড়েনি। গত ৩ বছরে বন্দরে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ১৯৭টি ইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৯- ২০ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৪৭৬টি। একই বছরে মোট কার্গো হ্যান্ডলিং সম্পন্ন হয়েছে মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ২০৯ মেট্রিক টন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০১৮- ১৯ অর্থবছরে মোংলা বন্দরের রাজস্ব আয় হয়েছিল ৩১৫ কোটি ৯৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ২০১৯ – ২০ অর্থবছরে ৩৩৮ কোটি ১৯ লাখ ১৯ টাকা আয় করেছে মোংলা বন্দর। আমরা আশা করছি চলতি অর্থবছর শেষে এ বন্দরের রাজস্ব আয় ৩৪০ কোটিতে পৌঁছবে।

বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, চলতি অর্থবছরের ৩১ মে পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোট জাহাজ এসেছে ৯১৩ টি যা বন্দর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে একটি নতুন মাইল ফলক। আমাদের প্রত্যাশা চলতি অর্থবছরে বন্দরে ১ হাজার জাহাজ আসবে। আর যদি সেটি সম্ভব না হয় তবে আশা রাখছি ৯৭০-৮০ টির মত জাহাজ আগমনের রেকর্ড আমরা দেখাতে পারবো।

বন্দরের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দরে জাহাজ এসেছে ৫১৯টি। ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা ছিল ৯৮ টি, ফেব্রুয়ারিতে ৮৫টি, মার্চে ৭০টি, এপ্রিলে ৮৬টি এবং মে মাসে এসেছে ৫৫টি। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে মোট জাহাজ আগমনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১৩টি। জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে ১৩ টি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়েও আমরা বন্দরের কার্যক্রম চালু রেখেছি। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাপ্তরিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অপারেশনাল কার্যক্রমে শ্রম দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। সবমিলিয়ে সকলের আন্তরিকতার কারণে মোংলা বন্দরের বহুমূখী অর্জন সম্ভব হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!