অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিনদিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৭৪ রানের তোলে বাংলাদেশ দল। ১৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী হিসেবে ৬ রান নিয়ে আজ রোববার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুরু করতে নামেন মোদাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে এদিন সুবিধা করতে পারেননি সৈকত, ফিরেছেন ১৯ রান করে। তবে অন্যপ্রান্তে দেড়শ রানের কোটা ছুয়েছেন তামিম ইকবাল।
তামিম দেড়শ স্পর্শ করার পর নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেট উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৩১০ রানের সময় প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সফরকারীরা। তামিম অপরাজিত থাকেন ১৬২ রানে। ২৮৭ বলে ২১টি চার ও ১টি ছয় ছিল তার ব্যাটে।
শুক্রবার প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। তবে তামিম আর নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৪) ছাড়া বাকিদের ব্যাটিং প্রস্তুতিটা ঠিকঠাক হলো না সে অর্থে। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই পরিণতি ব্যাট হাতে রানে ফিরতে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছাড়া মুমিনুল হকের। শূন্য হাতে ফিরেছেন জয়ের সমান ৬টি বল খেলে। দারুণ ছন্দে থাকা লিটন কাটা পড়েন ৪ রানে।
৭ রানে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পিঠের চোটে মাঠ ছাড়া ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। নুরুল হাসান সোহান থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হয়েছেন ৩৫ রান করে। আজ দ্বিতীয় দিনে মোসাদ্দেক ফেরেন ১৯ রান করে।
এই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে ডিক্লেয়ার দেওয়ার আগে বাংলাদেশ দল ব্যাটিং করেছে ৯৭ ওভার। যেখানে ৮ জন বোলার ব্যবহার করেছেন ক্রিকেট উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের অধিনায়ক। দুইজন বাঁহাতি পেসার, দুইজন ডানহাতি পেসারের জন্য অফ স্পিনার দুইজন। একজন করে বাঁহাতি অর্থোডক্স আর লেগ স্পিনারের বিপক্ষে ব্যাটিং প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিয়েছেন সফরকারীরা দলের ব্যাটসম্যানরা।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ২০১৮ সালের পর আবার উইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে ২ টেস্টের সঙ্গে সমান ৩টি করে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ খেলবে সফরকারীরা। সাদা পোশাকের ফরম্যাট দিয়ে ১৬ জুন মাঠে গড়াবে দুই দলের লড়াই।