বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন একটি প্রশংসনীয় এবং মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ফাউন্ডেশনটি খুলনার দিঘলিয়ায় নির্মাণ করতে যাচ্ছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হালিমা নজির নামে একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউণ্ডেশনের প্রশংসনীয় এ উদ্যোগকে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুনির আহমেদ বলেন, মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে ২০১৮ সালে আমি আমার বাবার নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি। শুরু থেকে ফাউন্ডেশনটি হতদরিদ্র ও পিঁছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন ও সেলাই মেশিন, ভ্যান প্রদানসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রদান করে আসছে। দিঘলিয়া উপজেলার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। আর্থিক সংকটের কারণে চিকিৎসার অভাবে অনেকে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্তরা সুচিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে । খুলনা শহরে একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল থাকলেও শহরের রোগী সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। ফলে দিঘলিয়াসহ পাশ্ববর্তী উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ডায়াবেটিক রোগের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এ রোগের সুচিকিৎসা না পাবার কারণে বিভিন্ন জটিল রোগে সাধারণ মানুষ ভুগছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে দিঘলিয়ায় আমার মা মরহুম হালিমা নজিরের নামে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। ১০ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি প্রথমে ৫ তলা হবে। পরবর্তীতে এটি সম্প্রসারণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানায় এ হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে।
এদিকে দিঘলিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুনির আহমেদের হাসপাতাল নির্মাণের এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এলাকার কয়েকজন ডায়াবেটিক রোগী বলেন, অত্র এলাকায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতালের খুব প্রয়োজন ছিলো। বীর মুক্তিযোদ্ধ মরহুম শেখ নজির আহমেদ ছিলেন মানবদরদী মানুষ। তার কন্যা কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার শিলা, পুত্র ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুনির আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।