ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শেকলে বেঁধে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগের পর এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবক এবং সহায়তাকারী এক নারী পলাতক রয়েছে।
গত শনিবার (৩০ মার্চ) ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২৩ বছর বয়সী তরুণী গত ৩১ মার্চ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, তরুণীর কথিত প্রেমিক সান (২৬), তার দুই বন্ধু হিমেল (২৭) ও রকি (২৯)। অপরজন সহায়তাকারী নারী সালমা ওরফে ঝুমুর (২৮)।
জানা গেছে, জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, ঢাকার মধ্যেই ফ্ল্যাটে এক তরুণীকে শেকলে বেঁধে যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। এরপর শনিবার ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এদিকে আসামিদের শনাক্তের পর তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, “ওই তরুণী পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের যে ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন, তা মুখে বলা সম্ভব নয়। ওই তিন যুবক প্রায় ২৫ দিন তাকে আটকে রেখে ধর্ষণের পাশাপাশি পাশবিক যৌন নির্যাতন চালায়।”
এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজিজুল হক বলেন, “ফোন পেয়ে নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।”
এ বিষয়ে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম