ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, খুব শীঘ্রই ওই টিকার প্রথম ডোজটি পেতে চলেছেন মার্কিন নাগরিক। টুইটারে এক ভিডিও পোস্ট করেন ট্রাম্প। বক্তব্য, ‘২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে প্রথম টিকাটি দেওয়া হতে চলেছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে’।এর ফলে গোটা দেশে দ্রুত ওই টিকা দেওয়ার রাস্তা প্রসারিত হল।
শুক্রবার রাতে টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে ট্রাম্প বলেন, ‘ফেডেক্স এবং ইউপিএস-এর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক থাকায় ফাইজারের টিকা দ্রুত দেশে আনাতে চলেছি। প্রতিটি প্রদেশে ওই টিকা শীঘ্রই পৌঁছে যাবে’।
ষষ্ঠ দেশ হিসাবে আমেরিকা ফাইজারের টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ করেছে ব্রিটেন। টিকাকরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে সেখানে। বাহারাইন, কানাডা, সৌদি আরব এবং মেক্সিকো-ও ওই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
সম্প্রতি, আমেরিকার বিশেষজ্ঞ কমিটির ১৭ সদস্য ফাইজার টিকা জরুরি ব্যবহারের পক্ষে রায় দেয়। ওই কমিটির চার জন বিরুদ্ধে ভোট দেন, একজন অনুপস্থিত ছিলেন। বিষেশজ্ঞ কমিটির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘‘টিকার বৈজ্ঞানিক ফল মাথায় রেখে ১৬ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য কি এই টিকা ব্যবহার করা যায়?’’ সেখানে টিকা পরবর্তী সময়ের ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে বলা হয়েছিল। তার উত্তরেই বিশেষজ্ঞ কমিটি ছাড়পত্র দিয়েছে।
ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের উপর টিকা প্রয়োগ করে তার ফলাফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশ করেছে সংস্থা। তারপরেই আমেরিকায় এসেছে ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি।
ফলাফলে দাবি করা হয়েছে, এই করোনা টিকা গড়ে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এই টিকার ফলে দেখা যায়নি। আরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই টিকা তৈরি করার ফলেই এই সাফল্য বলে জানিয়েছেন ফাইজারের বিজ্ঞানীরা। তবে খারাপ খবর এসেছে ব্রিটেন থেকে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে টিকা নেওয়ার পর দুই স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিয়েছে। সেই কারণে ছাড়পত্র পেলেও এই টিকার গায়ে একটি লেবেল সাঁটা থাকবে, যেখানে সতর্ক করা থাকবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে।
খুলনা গেজেট/এনএম