নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো বিশ্ব। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মাঠেই ২০২২ সালের প্রথম দিনটা কাটাবেন। ১ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে টাইগাররা। তার আগে ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে একটু নজর দেওয়া যাক।
আজ প্রথম পর্বে থাকছে ওয়ানডে ফরম্যাটের পারফরম্যান্স মূল্যায়ণ। ২০২১ সালে ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের পারফরম্যান্সকে এভারেজ বলা যায়। তবে কেবল ওয়ানডের কথা বললে বলতে হবে এই ফরম্যাটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো খেলেছে তামিম ইকবাল বাহিনী। পুরো বছরে মোট ১২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত ম্যাচগুলোর মধ্যে আটটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জয়ের হার ৬৬.৬৬ শতাংশ।
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলেও বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। ১২ ম্যাচে ৮টিতে জিতে পয়েন্ট ৮০। আর শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ড ১৫টি ম্যাচ খেলে ৯টিতে জিতেছে। তাদের পয়েন্ট ৯৫ এবং জয়ের হার ৬০ শতাংশ।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এতে ৩-০ ব্যবধানে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা। ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে জয় পায় ৬ উইকেটের ব্যবধানে, ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের ব্যবধানে এবং ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে তৃতীয় ম্যাচে ১২০ রানের বিশাল ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের হারায় তামিম বাহিনী।
এরপর মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর করে বাংলাদেশ। সেখানে স্বাগতিকদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাবরণ করে টাইগাররা। অবশ্য নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশের নেই। ফলে সেখানে যে এমন রেজাল্ট হবে তা অনেকটা প্রত্যাশিত ছিল। কেবল প্রত্যাশা ছিল ভালো খেলার। কিন্তু সেটাও হয়নি। হারের ব্যবধানগুলো ছিল বিশাল, ৮ উইকেট, ৫ উইকেট ও ১৬৪ রান।
সেটি ভুলে মে মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দেয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচে ৩৩ ও ১০৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। আর তৃতীয় ম্যাচে ৯৭ রানে পরাজিত হয় টাইগাররা।
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফর করে তামিম বাহিনী। সেখানে ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত তিনটি ওয়ানডে ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের ব্যবধান যথাক্রমে ১৫৫ রান, ৩ উইকেট ও ৫ উইকেট।
তবে আসন্ন ২০২২ সালে অনেক বেশি ওয়ানডে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। সূচি অনুযায়ী মোট ২৩টি একদিনের ম্যাচ খেলতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম