লক্ষ্য দেশের জন্য ষষ্ঠ এবং নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ জয়। ব্রাজিল যেমন ট্রফির খরা মেটাতে চাইছে, তেমনি নেইমার তার দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে হারাতে মরিয়া। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য ফেভারিট তকমা নতুন নয়। প্রতিটি বিশ্বকাপেই ব্রাজিল খেলতে নামে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়নি সেলেকাওদের।
এবার ২০ বছরের হাহাকার ঘোচাতে চান নেইমার। হেক্সা (ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা) জয়ের মিশন নিয়ে কাতারে এসেছে তার দল। সেকথা মেসিকে জানিয়ে এসেছেন পিএসজিতে তার সতীর্থ নেইমার।
টেলিগ্রাফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিল তারকা বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির সঙ্গে কমই কথা হয়েছে আমার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেমিফাইনাল বা ফাইনাল হবে কি না, কখনো কখনো আমরা এ নিয়ে আলোচনা করি। আমি ওকে বলেছি, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। আমি তাকে হারাব। এটা বলার পর আবার আমরা দুজনই হেসে উঠে।’
নেইমার এর আগে দুটি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তার দল কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতলেও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। জার্মানির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি। সেই ম্যাচে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে জার্মানির বিরুদ্ধে ৭-১ গোলে উড়ে যায় ব্রাজিল। আর ২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যায় নেইমারের ব্রাজিল। নেইমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটা হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ। শেষটা রাঙাতে চান তিনি। মেসিরও এটা শেষ বিশ্বকাপ।
আর্জেন্টিনার অধিনায়কও দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে না পারার অপূর্ণতা ঘোচাতে চান। কোচ তিতের ব্রাজিল ২৯ ম্যাচে হারেনি। শেষ ১৭ ম্যাচের ১৩টিতে গোলও হজম করেনি। নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসন, কাসেমিরো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের আগে ক্লাব ফুটবলে দারুণ ফর্ম দেখিয়েছেন। ফলে ২০ বছরের খরা কাটিয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ হাতে তুললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।