বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে ১৯ দিন বন্ধ ছিল দেশের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র আবাসিক হলসমূহ। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হলসমূহ বন্ধ ঘোষণার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা। হল ভ্যাকেন্ট মানি না, মানবো না বলে তারা ক্যাম্পাসে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের নীচে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। হলত্যাগের সময়সীমা বৃদ্ধির বিষয়কে কেন্দ্র করে এ দিন সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মিহির রঞ্জন হালদারের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত না হলেও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের চাপে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি ছাত্র এবং একটি ছাত্রী হল খুলে দেওয়া হয়। এদিকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলেও ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখনও হলে আসতে শুরু করেনি ।
ভিসির অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ওয়ার্কের দায়িত্ব পালন করছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের পরেই হলগুলো খুলে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে আমরা আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়েছি। ভিসি স্যার ছুটিতে আছেন। স্যার ছুটি শেষ করে যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের পরেই ক্লাস শুরুর তারিখ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অন্যান্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ জুলাই
সিন্ডিকেট সভায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) এবং আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরের দিন ১৮ জুলাই সকাল ১০ টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ টি ছাত্র এবং একটি ছাত্রী হল সিলগালা করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
খৃুলনা গেজেট/এনএম