আগামী ১৮ অক্টোবর খুলবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল। এদিন থেকেই নিবাসী শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় বছর পর হলে ফিরবেন। দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকায় অনেক বিষয় সংস্কার ও পরিবেশ উন্নয়নের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নতুন উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর গত ১ জুন হল পরিদর্শন করে হলসমূহের সংস্কার ও পরিবেশ উন্নয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। আজ ৬ অক্টোবর সকাল ১০টায় তিনি সেই কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।
প্রথমে তিনি অপরাজিতা হল, পরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব হল, খানজাহান আলী হল, খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ হল এবং সবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রত্যেক হলের সংস্কার ও পরিবশে উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।
এসব হলের বেশিরভাগ কাজ শেষ হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে এখনও অবশিষ্ট যে কাজ চলমান রয়েছে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন যাতে আবাসিক শিক্ষার্থীরা স্বচ্ছন্দে হলে থাকতে পারে। এছাড়া উপাচার্য হলগুলোতে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দেন।
আবাসিক হল ছাড়াও উপাচার্য নির্মাণাধীন দশতলা ৪র্থ একাডেমিক ভবন ‘জয়বাংলা ভবন’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আইইআর ভবন ও নির্মাণাধীন শহিদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্রের কাজের আগ্রগতিও পরিদর্শন করেন।
আবাসিক হল পরিদর্শনকালে খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, খানবাহাদুর আহছান উল্লাহ হলের প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল আহমেদ ও অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা নুসরাত রিম্মি এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. মাহবুবুস সোবহান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমানসহ সংশ্লিষ্ট হলের সহকারী প্রভোস্ট এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম