ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হতো ২০৪ রান। সে রানটা মেহেদি হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেনরা তুলতে পারবেন না, এমন একটা শঙ্কা ছিল আগের দিনের শেষেই। সে শঙ্কাটা সত্যি হয়েছে আজ। ১৩৩ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ শেষ দুই উইকেটে আজ সকালে তুলতে পারল ১৭ রান, অলআউট হলো ১৫০ রানে।
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনটা বাংলাদেশ শেষ করেছিল ২৭১ রানে পিছিয়ে থেকে। শঙ্কা ছিল ফলো অনে পড়ার। তৃতীয় দিনের শুরুতেই যখন নবম ব্যাটার হিসেবে ফিরে গেছেন এবাদত হোসেন, তখন সে শঙ্কাটা বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে বলেই মনে হচ্ছিল।
কুলদীপের বলে ক্যাচ নিয়েছিলেন ঋষভ পান্ত। ফলে এবাদতকে ফিরতে হয়েছে ১৭ রান নিয়ে। ফলোঅন এড়াতে তখনো টাইগারদের প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। শেষমেশ সে রান আর তোলা হয়নি দলের।
দশম উইকেটের পতন ঘটে আর ছয় রান যোগ করার পরই। অক্ষর পাটেলকে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটে বলে হয়নি, উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্ত অনায়াসেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাকে। ফলে মিরাজকে ফিরতে হয় ৮২ বলে ২৫ রান করে। আর ১৫০ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
তবে ২৫৪ রানে এগিয়ে থাকলেও ভারত ফলো অন করায়নি বাংলাদেশকে। ইতোমধ্যেই সাগরিকার উইকেটে স্পিন ধরতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ যদি ২৫৪ রানের বেশি করেই ফেলে তাহলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হতো লোকেশ রাহুলের দলকে। তার ওপর বোলারদের ওপরও টানা বোলিংয়ের ধকল যেত ফলো অন করালে। সব মিলিয়ে সে ঝুঁকিটা নেয়নি ভারত। নেমে গেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড