নেইমার খুব করে চাইছিলেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ফাইনালে উঠুক। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে একরাশ উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অবশেষে আর্জেন্টিনা পৌঁছে গেছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে। স্বপ্নের সেই ফাইনালে এবার হবে ‘সুপার ক্লাসিকো দে লাস আমেরিকাস’ বা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দ্বৈরথ ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার লড়াই, শিরোপার ধ্রুপদী লড়াই।
জিওভানি লো চেলসোর বাড়ানো বল বক্সে খুঁজে পেল লিওনেল মেসিকে। একজন ডিফেন্ডার এসে ছেঁকে ধরলেন তাকে। মেসি বলটা ছাড়লেন লাওতারোর কাছে, এরপর ক্লিনিকাল শট আর গোল। ব্রাসিলিয়ায় তখন ম্যাচের বয়স মোটে ৬ মিনিট। নকআউট ম্যাচের শুরুতেই এমন কিছু বড় জয়েরই আভাস দেয়, সেখানে ম্যাচটা যে এমন রোমাঞ্চকর হবে তা কে জানত?
এরপর কয়েক গাদা রোমাঞ্চ ঝরে পড়ল মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। কলম্বিয়া সমতা ফেরাল, আর্জেন্টিনা মিস করল সহজ গোলের সুযোগ, এরপর পেনাল্টি শুটআউট। সেখানে মার্টিনেজ ঠেকালেন একে একে তিনটি পেনাল্টি। বনে গেলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় বীর। তবে তার এই কীর্তিতে ১৪ বছর পর কোপা আমেরিকায় দেখা মিলছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথের। ঠিক নেইমার যেমনটা চেয়েছিলেন।
শেষবার সেই ২০০৭ সালে আর্জেন্টিনা খেলেছিল ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে স্মৃতিটা অবশ্য মোটেও সুখকর নয় আর্জেন্টিনার। সেবার রিকেলমে-মেসির আর্জেন্টিনা হেরেছিল ৩-০ গোলে। কোপা আমেরিকায় সাম্প্রতিককালে দুই দলের দ্বৈরথেও আর্জেন্টিনা খুব ভালো অবস্থানে নেই। দুই দলের লড়াইয়ে সর্বশেষবার আর্জেন্টিনা যখন জিতেছিল, মেসি তখন রীতিমতো হাঁটি হাঁটি পা পা করছেন। সেটা ১৯৯১ সালের ঘটনা। সেবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৩-২ গোলে। এরপর থেকে আর্জেন্টিনা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলেছে আরও ছয়বার, জেতেনি একবারও। ফাইনালে শিরোপা খরা মেটাতে হলে কাটাতে হবে সেই খরা। মেসির আর্জেন্টিনা কি পারবে?
খুলনা গেজেট/এনএম