বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেল মৌসুমের প্রথম ইলিশের চালান। বৃহস্পতিবার রপ্তানি হয়েছে ১০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫৪ টন ইলিশ মাছ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদিন দুপুরে রপ্তানি করা মাছের চালান ভারতে প্রবেশ করে।
প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ২০০ টাকার মতো। প্রথম চালানে যে ইলিশ ভারতে গেছে সেগুলোর অধিকাংশের ওজন এক কেজি বা তার বেশি। খুচরা পর্যায়ে যার দাম হতে পারে দুই হাজার রুপি।
বেনাপোল বন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে এসব মাছ পাঠাতে হবে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বুধবারই দু’টি প্রতিষ্ঠান দুই ট্রাকে আট টন ইলিশ বেনাপোলে নিয়ে আসে। কিন্তু মৎস্য অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সেদিন চালানটি পাঠানো সম্ভব হয়নি।
২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। পরে গত পাঁচ বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থায় এই মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে গত বছর ৩ হাজার ৯০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি থাকলেও রপ্তানি হয় ৬৬৩ টন।
ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো– মেসার্স স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সুমন ট্রেডার্স, ম্যাপ ইন্টারন্যাশনাল, জেএস এন্টারপ্রাইজ, রূপালি সি ফুড লিমিটেড, জেবিএস ফুড প্রডাক্ট, নোমান এন্টারপ্রাইজ, আহানাফ ট্রেডিং ও প্যাসিফিক সি ফুড। ওপারে চালানগুলো বুঝে নিয়েছে ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার আরজে এন্টারপ্রাইজ এবং আরএস এন্টারপ্রাইজ।
খুলনা গেজেট/এইচ