ফের বাড়ল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো। ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়িয়ে ১২ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস নিতে পারব।
এছাড়া মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় আগামী ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে।
দীপু মনি বলেন, ২০২১ সালে এসএসএসি পরীক্ষার্থীরা ৬০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ৮৪ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষায় অংশ নেবে। ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীরা যথাক্রমে ১৫০ দিন ও ১৮০ দিন ক্লাস করবে। তারপর পরীক্ষায় অংশ নেবে।
গত রোববার (২৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মহামারি মোকাবিলায় চলমান লকডাউন তথা বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেশের চলমান লকডাউন ৩০ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুন মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে নতুন করে আরও এক সপ্তাহ ছুটি বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে যদি লকডাউন তুলে দেওয়া হয় তাহলে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি শুরু করা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন তাদের ক্লাস নেওয়া হবে। অন্য স্তরের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়া হলেও অনলাইন ও অফলাইনে চলবে নিয়মিত ক্লাস।
মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা বিশ্ববাসী। বাংলাদেশেও প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম