মাত্র ১৩১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে মাত্র ২৮ রান তুলতে পেরেছে তারা। যেখানে ৩৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ১১ বছর পর এমন বাজে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার।
১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টি–টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া এর চেয়ে কম রানে প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছে শুধু একবার। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরেছিল অজিরা। মিরপুরের পিচে খাবি খেতে থাকা অস্ট্রেলিয়া টপ অর্ডারের ঠিক সেরকম কিছুর ইঙ্গিতই কি দিচ্ছে?
দুই ওভারে পরপর দুই উইকেটের পতন অজিদের। উইকেট শিকার করেছেন নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান। প্রথম ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারে নাসুমের বলে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন জশ ফিলিপ। তৃতীয় ওভারে এসে আরেকটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছেন মাত্র এক রান করা ময়শিস হ্যানরিক্সকে। ১২ রানেই তিন উইকেট হারিয়েছে অজিরা। নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় নাসুম। এরপর অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। নাসুমের বল ঠেকিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে নিজের পায়ে স্ট্যাম্প ভেঙে সাজঘরে ফেরেন অ্যাস্টন অ্যাগার।
এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন শেখ মেহেদী হাসান। ওপেনিংয়ে নামা অ্যালেক্স ক্যারিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। টার্ন করবে ভেবে খেলেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি, তবে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলের লাইন মিস করে হয়েছেন বোল্ড।
বাংলাদেশ একাদশ : সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, মোয়াসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।