খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

১১ জানুয়ারি দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি বিএনপির

গেজেট ডেস্ক

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবির প্রথম কর্মসূচি ছিল আজকের গণমিছিল। দ্বিতীয় কর্মসূচি হচ্ছে আগামী ১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি। ঢাকায় এ কর্মসূচি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে হবে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে ৯টি বিভাগীয় শহরে একইভাবে ৪ ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর ) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যেসব দল গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে তারাও আগামী ১১ জানুয়ারি এই গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।

মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিকভাবে হ্রাইবিড সরকার নামে পরিচিত। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ জন্য আজ ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। অনেক আমদানিকারক এলসি খুলতে পারছেন না, কারণ ব্যাংকগুলোতে ডলার নেই।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে গঠন করতে হবে। তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তাদের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

মিছিল শুরু আগে আসা নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে থেকে আপনাদের অভিনন্দন জানাই। শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও আপনারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন।

গণমিছিল থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান মোশাররফ।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করবে। এ ধরনের স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে। যত চেষ্টা করুন, যত নির্যাতন করুন লাভ হবে না। মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমি সরকার ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের বলব, আজকের গণমিছিল এসে দেখে যান।

১১ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চেরও গণঅবস্থান কর্মসূচি

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কারও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমিছিল শেষে কাকরাইল মোড়ে সমাপনী সভায় এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। মিছিলটি পুরানা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, শহীদুল্লাহ কায়সার, রাশেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাবলু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের গণমিছিল শেষ করেছি। ১১ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে, গুম করে, মামলা, হামলা করে তারা ক্ষমতায় আছে।

তিনি বলেন, ভোট চুরির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আশ্বাস দিয়েছিলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন, বলেছিলেন তার ওপর ভরসা রাখতে। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। ২০১৮ সালে মধ্যরাতের ভোটের মাধ্যমে কলঙ্কজনক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসেন।

খুলনা গেজেট/ বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!