গত ১০ দিনে ভারতে গেল সাড়ে ৯০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ। ৯টি প্রতিষ্ঠান এই মাছ রপ্তানি করেছে। যার রপ্তানি মূল্য ৯ লাখ ৫ হাজার ডলার। এর আগে এক হাজার ১৩৭ মেট্রক টন ইলিশ ভারতে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) ছিল মাছ রফতানির শেষদিন। গত ২৬ অক্টোবর সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি সময় বৃদ্ধি করে একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তানিয়া ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ টন করে ইলিশ রফতানি করতে পারবে। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। যেকারণে অনুমোদন পাওয়া রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এজন্য অবশিষ্ট ইলিশ রপ্তানির সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
বেনাপোল ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইনের পরিদর্শক আস-ওয়াদুল বলেন, বর্ধিত সময়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতে ৯০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হয়েছে। সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ১১৫টি প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৬শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছিল। যা প্রথম দফায় গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন। দ্বিতীয় দফায় গেল সাড়ে ৯০ মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছিল ১০ ডলার। গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৫১টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ মাছ রপ্তানি করেছিল এক হাজার ১৩৭ মেট্রক টন। এ বছর গত ২২ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে ইলিশ প্রথম চালান যায় ভারতে।
রফতানিকারক নূরুল আমিন জানান, দেশে ইলিশের উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরবর্তীতে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্কের সূত্র ধরে সরকার ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর পূজার আগে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে আসছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই