নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির চতুর্থ বৈঠক শুরু হয়েছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাঁচটার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ১০ জনের নাম সুপারিশ করবে সার্চ কমিটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় শতভাগ নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। তবে তালিকায় থাকা দক্ষ আর বিবেকবান ব্যক্তি বাছাই করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির আগে চূড়ান্ত ১০ জনের নাম পাঠানোর সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে বৈঠক সূত্রে। সেই তালিকা থেকেই নতুন কমিশনের নাম প্রকাশ করা হবে। সার্চ কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার গঠনে সার্চ কমিটির কাছে আসা প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব শফিউল আজিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটির কাছে আসা ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় বৈঠকের শুরুতেই নাম প্রকাশ করার কথা জানিয়েছিলেন সার্চ কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
নতুন ইসি গঠনে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দফায় বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় বেলা ১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশিষ্টজনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। এই দুটি সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নেন।
পরের দিন রোববার বিকেলে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে মতামত নিতে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। এ দফায় ২৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৮ জন সাড়া দেন।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। নবগঠিত সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন ইসি গঠনে মোট ২৪টি রাজনৈতিক দল, ৬টি পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করেছে।