আজ ১ জুলাই। আমরা সবাই জানি এই দিনটা আমাদের কাছে কতটা মাহাত্ম্য বহন করে নিয়ে আসে। এই দিনে জন্মেছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও সর্ববরেণ্য ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়। সেই সাথে এই দিনটা ওঁনার মৃত্যু দিনও। এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘চিকিৎসক দিবস’ হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে।
এবারো এই দিনটাকে ‘চিকিৎসক দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে এবং সেই সাথে এই দিনটাকে’ করোনা শহীদ দিবস’ হিসাবেও পালন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। করোনার সাথে লড়াই করে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন যাঁরা, নিজেদের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করার জন্য এর চেয়ে বড়ো কোনো সিদ্ধান্ত আর কিইবা হোতে পারে।
ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাক্তার কৌশিক লাহিড়ী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এতো চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা দিনের পর দিন রোগীদের সেবা করে চলেছেন অতিমারির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। চোখের সামনে সতীর্থ, সহকর্মীদের মৃত্যু মিছিল দেখেও নিজেদের কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন বা এখনো থাকছেন তাদের মনোবল অটুট রাখার জন্য এই দিনটাকে চিকিৎসক দিবসের সাথে করোনা শহীদ দিবস হিসাবে উদযাপন করাটা বাঞ্ছনীয়।
এই দিনটাকে স্মরণে রাখতে এবং সেই সাথে চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে ইতিমধ্যে পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ১ জুলাই রাজ্যে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেছেন। নিঃসন্দেহে এই পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ করোনা অতিমারিতে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এইভাবে নিরলস সেবাকে কুর্নিশ জানানোর এ এক বড়ো পদক্ষেপ।
করোনা অতিমারি আমাদের জীবনকে অনেক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পেরেছে। আমরা চাক্ষুষ করতে পেরেছি চিকিৎসদের ভিতর দিয়ে ভগবানের রূপ। চাক্ষুষ করতে পেরেছি চিকিৎসাকর্মীদের নিরলস সেবা ও কর্তব্য পরায়ণতা। তাই মনে হয় এমন একটা উদ্যোগ এমনি একটা সম্মান প্রদর্শন যথার্থই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত আজকের এই বাতায়নে দাঁড়িয়ে।
খুলনা গেজেট/এনএম