প্রথম দুই ওয়ানডেতে টস জিতেও ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনেও টস ভাগ্য পক্ষে এলো তামিম ইকবালের। চট্টগ্রামের উইকেটে অনুমতিভাবেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শেষ ম্যাচের একাদশে একটাই বদল এনেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ বল করা পেসার তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার বদলে একাদশে এসেছেন ইবাদত হোসেন।
একাদশে তিনটি বদল এনেছে ইংল্যান্ড। চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া উইল জ্যাকসের জায়গায় অভিষেক হয়েছে লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রেহান আহমেদের।
প্রথম দুই ম্যাচ খেলা গতিময় পেসার মার্ক উড এই ম্যাচ খেলছেন না। তার জায়গায় বিশ্রাম পার করে ফিরেছেন জোফরা আর্চার। সাকিব মাহমুদের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন ক্রিস ওকস।
মিরপুরে প্রথম ম্যাচে মাত্র ২০৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। ডাভিড মালানের সেঞ্চুরিতে সেই ম্যাচ ৩ উইকেটে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচে আগে ব্যাটিং পেয়ে জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে ৩২৬ রান করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ জেতার কোন অবস্থাই তৈরি করতে পারেনি। ১৯৪ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে বড় ব্যবধানে। সাত বছর পর ঘরের মাঠে হেরে যায় সিরিজও।
চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচটা তাই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার মিশন। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হয়নি বাংলাদেশ। এবার সেই সম্ভাবনা জোরালো।
হতাশার সিরিজের শেষটা জিততে মরিয়া বাংলাদেশ একাদশ নিয়ে খুব বেশি নাড়াগাটা করেনি। তাসকিনের হালকা চোট থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। এর বাইরে আছেন প্রথম পছন্দের সবাই। ইংল্যান্ড সেদিক থেকে প্রতি ম্যাচেই আনছে বদল। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে দিচ্ছে সুযোগ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ড একাদশ: জেসন রয়, ফিল সল্ট, ডাভিড মালান, জেমস ভিন্স, জস বাটলার, স্যাম কারান, মঈন আলি, রেহান আহমেদ, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ