খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

হেফাজতে হত্যার অভিযোগে চৌগাছা থানার সাবেক ওসি’র বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

case

যশোরের চৌগাছা উপজেলার দীঘলসিংহা গ্রামের কৃষক রাজু আহম্মেদকে পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় ছয় বছর পর মামলা হয়েছে। এতে বাঘারপাড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১০ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার নিহত রাজুর মা কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ ঘটনায় পূর্বে দায়েকৃত হত্যা মামলার নথি তলবসহ আগামী ২১ অক্টোবর অভিযোগের শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুজ।

মামলার আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, এসআই নাসিরুল হক খান, এসআই শাহ আলম, এএসআই শামীম রেজা, এএসআই দেবাশীষ মন্ডল, এএসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল জিন্নাহ আলী, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা ও চৌগাছা থানার এসআই জামাল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজু আহম্মেদ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৮ সালের ৩০ মে সন্ধ্যায় চৌগাছা থানার এসআই জামাল দিঘলসিংহা গ্রামের রাজুর বাড়িতে গিয়ে কথা আছে বলে তাকে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে রাজুর মাসহ স্বজনেরা চৌগাছা থানায় গিয়ে এসআই জামালের কাছে ছেলের সন্ধান চাইলে জামাল বলেন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর রাজুর মাসহ স্বজনেরা বাড়িতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে বাঘারপাড়া থানার এসআই নাসিরুল হক খান ফোন করে জানান রাজুকে তিন কেজি গাঁজা ও দুশ’ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।

ওই রাতে রাজুর মা ও স্বজনেরা বাঘারপাড়া থানায় গেলে রাজুকে ছাড়াতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই সময় এএসআই দেবাশীষ মন্ডলের হাতে এক লাখ টাকা দিয়ে রাজুকে আদালতে চালান করে দিতে অনুরোধ করেন তার স্বজনেরা। এএসআই দেবাশীষ মন্ডল টাকা গ্রহণ করে পরদিন দুপুরে রাজুকে থানা থেকে নিয়ে যেতে বলেন স্বজনদের। অথচ পরদিন সকালে রাজুর মা ও স্বজনেরা জনতে পারেন রাজুর মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আছে।

খোঁজ নিয়ে রাজুর স্বজনেরা জানতে পারেন আসামিরা যশোর-মাগুরা সড়কের ভাটার আমতলা গরুর হাটের পাশে মেহগনি বাগানে রাজুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩১ মে বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামালা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ৬ মার্চ চূড়ান্ত রিপোর্টের শুনানি শেষে মামলাটি নথিজাত করা হয়। এ ঘটনায় সে সময় মামলা করতে চাইলে আসমিরা বাড়িতে যেয়ে হুমকি দেয়। ফলে ঘটনার পর তারা মামলা করতে পারেননি। ছয় বছর পর এখন পরিবেশ অনুকুলে আশায় বাদী আদালতে এ মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!