রান্নায় স্বাদ বাড়াতে মসলার জুড়ি নেই। তবে মসলা শুধু স্বাদই বাড়ায় নয়, এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশ কিছু মসলা ও ভেষজ আছে, যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। যেমন-
রসুন: রসুনে রসুন রক্ত তরল করতে সাহায্য করে। এমনকী হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান রক্ত সরবরাহ সুস্থভাবে পরিচালনায় সাহায্য করে। তাই নিয়মিত রসুন খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। রসুন কাঁচা খাওয়া যায়। চাইলে এক কোয়া রসুন প্রতিদিন কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
হলুদ: কাঁচা হলুদে বিশেষ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ।হলুদ কোলেস্টেরল কমায়, বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। ফলে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে। এমনকী হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতেও দারুণ কার্যকরী হলুদ। তাই নিয়মিত হলুদ খান।
কালো গোলমরিচ: গোল মরিচের দারুণ সব গুণ আছে। এতে বেশ কিছু উপকারী এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ কারণে গোলমরিচ খাওয়াটা ভীষণ জরুরি। ফ্যাট সেল দূর করে দিতে পারে গোলমরিচ। ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। অন্যান্য অনেক অসুখও দূরে থাকে।
দারচিনি: দারচিনিতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর সক্রিয় উপাদান সিনামালডিহাইড এবং সিনামিক অ্যাসিডকে কার্ডিও প্রতিরক্ষামূলক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আদা: আদায় জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান রয়েছে। এটা আদার অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট। এই উপাদানটি অনেক ধরনের অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে। আদা খেলে রক্তনালীতে রক্তের প্রবাহ ঠিকমতো হয়। ফলে হৃৎপিণ্ডে অকারণে চাপ পড়ে না। তাই নিয়মিত আদা খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আদা কুঁচি মুখে রাখতে পারেন। এছাড়া আদা চা পান করা ভালো।
খুলনা গেজেট/এনএম