হুমায়ূন আহমেদ এক কিংবদন্তি। সাহিত্যে তাঁর জনপ্রিয়তার তুলনা চলে শুধু শরৎচন্দ্রের সাথে। শরৎচন্দ্রকে বলা হয় অমর কথাসাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদও অমর কথাসাহিত্যিকই। মৃত্যুর পর যে লেখকের জনপ্রিয়তা কমে না বরং বেড়েই চলে, সাহিত্যে তিনি স্থায়ী হয়ে যান। হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে স্থায়ী হয়ে গেছেন। তিনি চলে গেছেন ৮বছর হলো। বইমেলায় এখনো তাঁর বইয়ের বিক্রি তুঙ্গে। তাঁর ধারেকাছেও নেই কারো জনপ্রিয়তা।
বাঙলা সাহিত্যের বরপুত্র খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। পরে ২৩ জুলাই দেশে আনা হয় এ অমর কথাসাহিত্যিককে। পরদিন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে তার নিজের গড়া নুহাশ পল্লী নামের বাগান বাড়ীতে দাফন করা হয়।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজুর রহমান। মা আয়েশা ফয়েজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তথা ছাত্রজীবনেই তার লেখালেখি শুরু। ১৯৭২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশ পায়। তখন তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শংখনীল কারাগার’। এই দু’টি বই প্রকাশের পর হুমায়ূন আহমেদ একজন শক্তিশালী কথাশিল্পী হিসেবে দেশের পাঠকমহলে সমাদৃত হন। সেই থেকে জীবিতকালে তার দুই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়।
হুমায়ূন আহমেদ দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক লেখালেখির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার লেখায় এ দেশের তরুণ সমাজ ও জীবনধারার গল্পমালা ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে। গল্প বলায় ভাষার ব্যবহারে নিজস্ব একটা কৌশল এবং বর্ণনায় লোকজধারাকে প্রাধান্য দিতেন। বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যে তাকে পথিকৃৎ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়।
খুলনা গেজেট/এআইএন