ইসরাইল দাবি করেছে তারা লেবাননে হামলা চালিয়ে যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। একে তারা বড় বিজয় হিসেবে দেখছে। কিন্তু হিজবুল্লাহর তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা, বিবিসি বলছে, ইসরাইল সেখানে আরও সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে। তারা লেবাননের ভিতরে স্থল পথে আগ্রাসন চালাতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরাইল। তারপর থেকেই ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি চলছিল। হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভিতরে রকেট হামলা চালিয়েছে। তার জবাবে লেবাননের ভিতরে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। কিন্তু গত সোমবার থেকে ইসরাইল কঠোর অবস্থানে গিয়ে বেপরোয়াভাবে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের ভিতরে। শুক্রবার রাতভর সেখানে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। শনিবারও হামলা অব্যাহত ছিল। যদি হাসান নাসরাল্লাহ সত্যি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে বড় এক চ্যালেঞ্জে পড়বে হিজবুল্লাহ। শনিবার সকালেও তারা ইসরাইলের ভিতরে রকেট হামলা চালিয়েছে। আরও দক্ষিণে টার্গেট করেছে। কিন্তু ভয়াবহ এক অনির্দিষ্ট সময় এখন। একই সঙ্গে বিপজ্জনক। লেবাননে যেভাবে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, তা গাজার যুদ্ধের চিত্রকে সামনে নিয়ে আসে। একইভাবে তারা লেবাননে বাদবিচার না করেই বোমা হামলা চালাচ্ছিল। ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হ্যালেভি ৬২ সেকেন্ডের একটি সম্পাদিত ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দীর্ঘ প্রস্তুতির পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননে (হাসান) নাসরাল্লাহ ও হিজবুল্লাহর প্রধান কার্যালয়ে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটাই ছিল সঠিক সময়। আমরা এটা করেছি খুব মূল্যবান উপায়ে। এটাই আমাদের টুলবক্সের শেষ নয়। আমাদেরকে খুব পরিষ্কার হতে হবে। সামনে অগ্রসর হওয়ার আরও সক্ষমতা আছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। যে বা যারাই ইসরাইলি নাগরিকদের হুমকি দেবে আমরা জানি তাদেরকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয়। হোক সেটা উত্তরে, দক্ষিণে বা দূরে কোথাও।
খুলনা গেজেট/এএজে