মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফাইনালে পৌঁছে গেছে আগেই। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার লড়াই ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আর দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। শ্রেয়াস আইয়ারের দলই শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।
ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানো ম্যাচে ১৭ রানের জিতেছে দিল্লি। হায়দরাবাদের ক্যাচ মিস, আর ধাওয়ানের ব্যাটিংয়ের পর আব্দুস সামাদ ম্যাজিক। পুরো ম্যাচই ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। যদিও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি উইলিয়ামসন-সামাদরা।
আগে ব্যাট করতে নামা দিল্লি ম্যাচে বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিল উদ্বোধনী জুটিতেই। ৮ ওভার ২ বলের মাথায় স্কোরকার্ডে ৮৬ রান জমা করে ফেলেছিলেন দুই ওপেনার মার্কাস স্টইনিস ও শিখর ধাওয়ান। তবে দ্বিতীয় ওভারে হোল্ডারের হাতে লাগা বলটা তালু বন্দি করতে পারলে এত বড় হতো না এই জুটি।
ধাওয়ান-স্টইনিস জুটি নিয়ে যখন চিন্তার ভাঁজ ডেভিড ওয়ার্নারের কপালে। তখন তিনি বোলিংয়ে আনেন রশিদ খানকে। তার ওপর যে চাপ ছিল সেটা প্রমান করতেই যেন ওভার থ্রোতে দিল্লিকে চার উপহার দেন। এরপর অবশ্য হায়দরাবাদের ত্রাতা হয়েছেন তিনিই। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৪ রান করা স্টইনিসকে বোল্ট করে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি।
এরপর যেন কিছুটা হলেও খেই হারায় দিল্লির ইনিংস। ২০ বল খেলে মাত্র ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। অন্যদিকে অবশ্য রানের চাকা উর্ধ্বমুখী রাখার চেষ্টা করে গেছেন ধাওয়ান।
আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৮ রান করেন তিনি। এই ম্যাচেই আইপিএলে প্রথমবার ৬০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ধাওয়ান। দিল্লির সংগ্রহ বড় করার বাকি কাজটা করেন শিমরন হেটমায়ার। তার ২২ বল থেকে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ১৮৯ রানের পুঁজি পায় দিল্লি।
এর আগে ১২ বার আইপিএলে ১৯০ বা তার বেশি রান করে তারা। যার কোনোবারই হারেনি দিল্লি। এমন সমীকরণ সামনে রেখে শুরুতেই হোঁচট খায় হায়দরাবাদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক ওয়ার্নারকে হারায় তারা।
এরপর স্কোরকার্ডে ৪৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। তাদের জয়ের আশাও অনেকটা কমে যায় তখন। কিন্তু সেখান থেকে হাল ধরেন হোল্ডার ও উইলিয়ামসন। তবে কিছুটা ধীরস্থির গতিতে ব্যাট করেন তারা। ১৫ বল থেকে ১১ রান করে হোল্ডার আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন আব্দুস সামাদ।
তিনি ক্রিজে এসেই যেন বদলে দেন সব হিসাব-নিকাশ। চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি ছুঁটিয়ে হায়দরাবাদকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন সামাদ। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে ২ চার ও ছক্কায় ১৬ বলে ৩৩ রান করে তিনি আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় হায়দরাবাদের জয়ের আশা। শেষ পর্যন্ত ঘটেও তেমনটা। ১৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রথমবার ফাইনালে পৌঁছে গেছে দিল্লি।
খুলনা গেজেট/এএমআর