এ যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দ্বিতীয় ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। মাঝারি লক্ষ্যে দুর্দান্ত শুরু তাড়া করতে নামা দলের, এরপরই ছোট্ট একটা ঝড়ে হলো পথহারা। সেই যে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়া, তা আর কাটিয়ে উঠতে না পারা।
সে দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি আরও একবার ঘটিয়েছে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১৩ রানে হারিয়েছে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে। তুলে নিয়েছে নিজেদের টানা দ্বিতীয় জয়।
অন্যদিকে চেন্নাইয়ের মাটিতে হায়দরাবাদের দুঃসময়ের ব্যাপ্তি বাড়ল আরও এক ম্যাচ। সব মিলিয়ে এখানে ছয় ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের দেখা পায়নি দলটি।
জনাথন বেয়ারস্টোর ঝড়ে সে অধরা জয়টা ধরা দেবে বলেই মনে হচ্ছিল হায়দরাবাদ ইনিংসের শুরুতে। মাত্র ১৫১ রানের লক্ষ্য। সেটা তাড়া করতে নেমে যখন উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ বলেই উঠে যায় ৬৭ রান, তখন তাড়া করতে নামা দলের জয় অসম্ভব ভাবা যায় কী করে?
দেখা যায়, ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলেই হয়তো! ২২ বলে ৪২ রান করে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে হিট উইকেট দিয়ে এলেন বেয়ারস্টো। এরপর মনীশ পান্ডেও এলেন আর গেলেন। তবে অন্যপাশে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন বলেই হয়তো, আশাটাও জিইয়ে ছিল হায়দরাবাদের। তবে দলীয় ৯০ রানে তিনি ফিরতেই যেন ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে রোহিত শর্মার দল। পরের দশটা রান তুলতে হায়দরাবাদ খরচ করল আরও ৪ ওভার, ১৫তম ওভারে হারাল বিরাট সিং আর অভিষেক শর্মাকে। শেষ পাঁচ ওভার তখন হায়দরাবাদের চাই ৪৭ রান, হাতে তখন পাঁচ উইকেট।
ক্রুনালের পরের ওভারে বিজয় শঙ্কর দুটো ছক্কায় তুললেন ১৬, হায়দরাবাদের আশার সলতেয় নিভু নিভু আলোটা তখন জ্বলজ্বলে হয়ে উঠতে শুরু করেছে। সে জ্বলে ওঠাটা অবশ্য স্থায়ী হলো কেবল মিনিট দশেকের মতো সময়। পরের ওভারে এল চার রান। তাতে শেষ তিন ওভারে প্রয়োজনটা দাঁড়ায় ২৭ রানে। ট্রেন্ট বোল্টের পরের ওভারেই সে আশার সলীল সমাধি। এক চারসহ রান দিলেন ছয়টা, উইকেট গেল আবদুল সামাদ আর রশিদ খানের। যশপ্রীত বুমরাহর পরের ওভারে গেলেন বিজয় শঙ্করও। শেষ ওভারে দুটো উইকেট তুলে জয়ের আনুষ্ঠানিকতাটা সারেন বোল্ট। ১৩ রানে হায়দরাবাদকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে তুলে নেয় মুম্বাই।
এর আগে রোহিত শর্মার দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয় কুইন্টন ডি কক, রোহিত ও কাইরন পোলার্ডের তিনটে ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস। ডি কক ৪০ করার পথে কিছুটা ধীরগতির হলেও শেষদিকে পোলার্ডের ঝড়ে সেটা পুষিয়ে নেয় শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এবারের আসর শুরু করা মুম্বাই।
নিজেদের পরের ম্যাচে রোহিতরা মাঠে নামবেন ২০ এপ্রিল। এই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামেই দলটির প্রতিপক্ষ হবে দিল্লি ক্যাপিটালস।